শীতে মিষ্টি আলু খাবেন যে কারণে
শীতের সবজির ভিড়ে বাজারে এখন মিষ্টি আলু পাওয়া যাচ্ছে। এটি এমন একটি খাবার যা সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার বা এমনকি বিকেলেও খাওয়া যেতে পারে। মিষ্টি আলু শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে কাশি-সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগ দেখা দেয়। তাই এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা খুবই জরুরি। এছাড়াও, সবাই গরম কাপড় পরেন এবং গরম পানীয় খান কারণ এই ঋতুতে শরীরের উষ্ণতা প্রয়োজন। অনেকেই হয়তো জানেন না, মিষ্টি আলু বা রঙিন আলু শীতে শুধু শরীর গরম করে না, বিভিন্ন রোগ থেকেও রক্ষা করে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট WebMD-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিষ্টি আলু ভিটামিন এ-এর দৈনিক চাহিদার প্রায় ৪০০ শতাংশ যোগান দেয়। মিষ্টি আলু খেলে চোখ সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পায়। মিষ্টি আলু প্রজনন সিস্টেম, হার্ট এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলির জন্যও ভাল।
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, থায়ামিন, জিঙ্ক রয়েছে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। গবেষণায় দেখা গেছে মিষ্টি আলু খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। উদাহরণ স্বরূপ-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মিষ্টি আলুতে থাকা ক্যারোটিনয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। বেগুনি মিষ্টি আলুতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক যৌগ বেশি থাকে। এই উপাদান শরীরে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: মিষ্টি আলুতে থাকা বিভিন্ন যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। সেদ্ধ মিষ্টি আলুতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যার অর্থ এই খাবারটি অন্যান্য খাবারের মতো রক্তে শর্করা বাড়াবে না।
হৃদরোগ প্রতিরোধ: গবেষণায় দেখা গেছে মিষ্টি আলু শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। ফলে মিষ্টি আলু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন: মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো চোখের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
স্থূলতা কমায়: মিষ্টি আলু আপনার শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং চর্বি কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ফলে এই খাবারটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
