বাথরুমের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, ২৫ জন আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে আক্তার মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের নারীসহ আরো ২৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুনিয়াউক গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে আক্তার মিয়া (৩৯) নিহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন দুলাল মিয়া, সেরাজ মিয়া, মিলন মিয়া, বিল্লাল মিয়া, লায়েছ মিয়া, আলফাজ মিয়া, সবুজ মিয়া, ফারহান মিয়া, লিটন মিয়া, আরমান মিয়া, ফয়সাল মিয়া, শাহীন মিয়া, কামরুল মিয়া, রাজনাহার বেগম, মোছা রংমালা, লিয়াকত আলী। . , রত্না বেগম, নেকজাহান বেগম, মোঃ মাহবুব সরকার ও সুফিয়া বেগম।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুনিয়াউক গ্রামের মো. আক্তার মিয়া ও দুলাল মিয়া চাচাতো ভাই। এক মাস আগে আক্তার মিয়া ও তার লোকজন দুলাল মিয়ার জায়গা দখল করে। দুলাল বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মালেক ও পরামর্শদাতাদের জানান। ইউপি সদস্য মালেক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গা খালি করার আশ্বাস দেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও জায়গা খালি হয়নি। পরিবর্তে, দখলকারীরা প্রাঙ্গনে দুটি বাথরুম তৈরি করেছে।
দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয়রা আবারো ১৯ জুলাই সকালে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করতে সম্মত হয়। কিন্তু আকতার মিয়ার সমর্থকরা সালিসি অস্বীকার করে এবং দখল বজায় রাখতে দুলাল মিয়ার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে এক নারীসহ ২৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষে আক্তার মিয়া গুরুতর আহত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আক্তার মিয়া নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।