বিশ্ব নগর দিবসে বক্তারা।ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্যাপের বাস্তবায়ন জরুরি
ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা জানান, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬। তলানিতে থাকা ঢাকার উন্নয়নে গত ২৩ আগস্ট ড্যাপের অনুমোদন দেওয়া হয়। একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত শহর গড়ে তোলার জন্য (ড্যাপ) এর দ্রুত বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
বিশ্ব শহর দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ঢাকা গড়তে ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারী সংস্থা মাদকবিরোধী সংস্থা, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমন্ডি কচিকাঁথা উচ্চ বিদ্যালয়, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ছায়াতল বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশ (আইডব্লিউবি)। এবং ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারির সভাপতিত্বে ও প্রকল্প কর্মকর্তা প্রমা সাহারের সঞ্চালনায় লোকেশন প্রোগ্রামে বক্তারা বলেন, প্রাইভেট কারের আধিক্য ঢাকা শহরের যানজট ও দূষণের অন্যতম কারণ। হাঁটা ও সাইকেল চালানোর সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে উঠলে ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
তারা জানান, সাইকেলে যাতায়াতের জন্য ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন স্থানে সাইকেল লেন তৈরি করা হয়েছে। ড্যাপ ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণের সুপারিশ করেছে, যা সাইক্লিস্টদের উপকৃত করবে এবং শহরে অ-মোটর চালিত যানবাহনকে অগ্রাধিকার দেবে। এ ছাড়া ঢাকা শহরের অধিকাংশ সরকারি সুবিধা প্রতিবন্ধীবান্ধব নয়। ড্যাপ বাস্তবায়নের সময় এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। তা না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।