বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

0

বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ ও নোয়াকার মনোনীত প্রার্থী (নির্বাচনের সময় দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বাদ পড়া) প্রার্থী শাম্মী আহমেদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগতদের প্রায় সবাই পঙ্কজ দেবনাথের কর্মি বলে জানা গেছে।

এদিকে সমাবেশে অসুস্থ হয়ে সিরাজ সিকদার নামে এক কৃষক লীগ নেতা রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। তিনি হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কোরাবালিয়া গ্রামের মহব্বত আলী সিকদারের ছেলে ও ওই এলাকার ৬নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শাম্মী আহমেদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

প্রশাসন ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সভাস্থলে উপস্থিত ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সিরাজ সিকদারকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী ডাঃ শাম্মী আহমেদের দাবি, সিরাজ সিকদার নৌকার পক্ষে। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে সিরাজ সিকদার আহত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ এমপির সমর্থকরা দাবি করেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল কোট্যালী মডেল থানার এসআই মিরাজ দাবি করেন, সিরাজ সিকদারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি বলেন, কী কারণে সিরাজ শিকদারের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

নিহতের ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত সোহাগ নামের এক যুবক জানান, তিনি জনসভায় যোগ দিতে পঙ্কজ নাথের নেতৃত্বে মেহেন্দিগঞ্জ থেকে বরিশালে আসেন। মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের নেতাকর্মীরা তাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পিটিয়ে আহত করে ১৫-২০ জনকে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রেহান জানান, শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ক্ষোভে পঙ্কজ দেবনাথের লোকজন নৌকা কর্মীদের মারধর করে। ঘটনার সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন ড. শাম্মী আহমেদ। তিনি আজীবন মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, সংঘর্ষের কথা শুনেছি। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু একজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *