রামুর গোহিন পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় গহীন পাহাড়ে ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব; ঘটনাস্থল থেকে চার কারিগরকে বেশ কিছু অস্ত্র ও তৈরির সরঞ্জামসহ আটক করা হয়েছে।
তবে অভিযান টের পেয়ে কারখানার মালিক ও অস্ত্রের প্রধান কারিগর মনিউল হক পালিয়ে যায়।
র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গতকাল ভোরে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটার তুলাতলী পাহাড়ে এই অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত অস্ত্র প্রস্তুতকারীরা হলেন- জাফর আলম, লাল মিয়া, মাইন উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
সাজ্জাদ হোসেন জানান, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অস্ত্র তৈরি করে আসছিল। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে র্যাবের ৪০০ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে গতকাল ভোর ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটার তুলাতলী এলাকার পাহাড়ে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র্যাব। এ সময় তারা কারখানায় অবস্থানরত দুই শ্রমিককে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের বাসা থেকে আরও দুই কারিগরকে আটক করা হয়। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের কার্তুজ, ১২টি কার্তুজ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে বলেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে অস্ত্র তৈরি ও বিভিন্ন অপরাধীর কাছে বিক্রি করে আসছিল। তাদের অপকর্ম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। এলাকাটি ছিল দুর্গম পাহাড়ি এলাকা।আটককৃতরা উদ্ধারকৃত কারখানার সাথে জড়িত আরও কয়েকজনের তথ্য দিয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোহিনের পাহাড়ি এলাকায় আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্য রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।