টিকটক করায় প্রাণ গেল গৃহবধূ রিনার
চাঁদপুর উপজেলার শাহরাস্তিতে স্বামীর অপছন্দের টিক টকের কারণে স্বামী হাবিবুর রহমানের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে গৃহবধূ রিনা আক্তারকে।
এ ঘটনার আলোকে সোমবার (২০ নভেম্বর) চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শাহরাস্তি উপজেলার সুরসাই গ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান সাঈদ, শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, নিহত রিনা আক্তারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে গৃহবধূ হত্যার তিন দিন অতিবাহিত হলেও মূল খুনি স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিল্লাল হোসেন তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগে তার জামাইসহ ৫ জনকে আসামি করে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত মূল আসামিসহ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাকে খুঁজছে। খুনের ঘটনায় জানা গেছে, রীনা আক্তারের টিকটোক নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে হাবিব তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে, ফলে গৃহবধূ রীনা আক্তার নিহত হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে শাহরাস্তি উপজেলার তমতা উত্তর ইউনিয়নের সুরসাই গ্রামে স্ত্রী রিনা আক্তারকে (২৫) ছুরিকাঘাত করে স্বামী হাবিবুর রহমান। রীনা আক্তারকে প্রথমে এলাকার একটি ক্লিনিকে এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, মাত্র দুই মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পরেই স্বামী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে রিনার বিরোধ চলতে থাকে।
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর তার মেয়ে রাগ করে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তিন দিন আগে তার মেয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে।
নিহত রিনা আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন আরও জানান, মেয়ে ফিরে আসার পর স্বামীর সঙ্গে আবার ঝগড়া হয়। আর এর জের ধরে হাবিবুর রহমান তার মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, নিহত রিনা আক্তার হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন রিনা আক্তার। এতে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ ও ঝগড়া চলতে থাকে। যার জেরে বিয়ের এক মাস পর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান রিনা আক্তার।
কিন্তু সেই রাগ ভেঙে আবার ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু নতুন করে ঝগড়া হলে শেষ পর্যন্ত রিনাকে হত্যা করা হয়।