চতুর্থ দফায় শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

0

বিএনপি-জামায়াতের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির চতুর্থ ধাপ শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌপথে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে এই কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র ফোরাম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএমসহ বিএনপির অন্যান্য সমমনা দল ও জোট। এ ছাড়া অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবি পার্টি।

এদিকে অবরোধের আগের দিন শনিবার রাতে রাজধানীতে ৮টি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আরামবাগ পুলিশ বক্সের কাছে লাল-সবুজ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ মিনিটের মধ্যে রাত সাড়ে ৮টায় গাবতলীতে গাবতলী লিংক নামের আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাসটি গাবতলী পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীত পাশে দাঁড় করানো ছিল। এতে কোনো যাত্রী ছিল না। উভয় ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া রাত ৯টার দিকে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে সময় নিয়ন্ত্রণ পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে অনাবিল পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আব্দুল জব্বার (৪০) নামে এক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।

রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে মিরপুরের কাফরুল থানার বিপরীতে প্রজাপতি পরিবহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের তালতলায় শিকার পরিবহনের একটি বাসে এবং রাত ১২টায় রূপনগর থানার সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের যুগিতলায় একটি পিকআপে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ফার্মগেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফার্মগেটের বাবুল টাওয়ারের সামনের রাস্তায় ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায় কেউ। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

অন্যদিকে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক নোটিশে বিএনপি বলেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কালী ও শ্যামা পূজার ধর্মীয় অনুষ্ঠান অবরোধ কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি থেকে গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের যানবাহন অব্যাহত থাকবে। রবিবার) থেকে ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৬ টা পর্যন্ত। এছাড়াও, জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী যানবাহনগুলিকে অবরোধ কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যেও ঢাকাসহ সারাদেশে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের পর ২ দিন ঢাকাসহ সারাদেশে বাস ও মিনিবাস চলাচল করবে। সমিতি/কোম্পানীর মালিকদের সকল রুটে স্বাভাবিক ট্রাফিক বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *