‘সাধু’র দাম ১২ লাখ টাকা
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রায় ২৮ মণ ওজনের হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর জন্য খামারি ১২ লাখ টাকা নিচ্ছেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই দামেই বিক্রি করতে চান তিনি। উপজেলার বালিয়াটি জমিদার বাড়ির পাশের এলাকার কৃষক সুব্রত সাহা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে সাধুকে বড় করেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে জানান, মানিকগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু এই গরু।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধু সাড়ে ছয় ফুট লম্বা। গরুটি লম্বায় আট ফুট। দেহের ব্যাসার্ধ সাড়ে ৭ ফুট। এর ওজন ২৫ থেকে ২৮ মণ।
পেশায় পান বিক্রেতা সুব্রত সাহা জানান, সাড়ে তিন বছরের সাধুকে শিশুর মতো মানুষ করছেন তারা। শান্ত ও ঠাণ্ডা প্রকৃতির বলে এর নাম সাধু। নাম ধরে ডাকলে সে মাথা নেড়ে সাড়া দেয়।
সাধুর প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে রয়েছে- ধানের তুষ, ভুসি, চিড়া, ধান, ভুট্টা, কাঁচা ঘাস, কলা, মাল্টা, লেবু, মিষ্টি আলু এবং চিটাগুড়। এ ছাড়া গরুকে দিনে দুবার শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে। সাধুকে ছোটবেলা থেকেই বৈদ্যুতিক পাখার নিচে রাখা হয়েছে। সাড়ে তিন বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে সুব্রত সাহা বলেন, আসছে ঈদে সাধু বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা চাইছেন তিনি।
সুব্রতর মতো তার স্ত্রী আশা রানী সাহাও গরুর জন্য প্রচুর সময় দেন। তিনি বলেন, আমরা রাতে সাধুর পাশে ঘুমাই। শান্ত এবং নম্র হওয়ার কারণে যে কোনও ব্যক্তি সাধুর কাছে যেতে পারেন। আশা রানী আরও মন্তব্য করেন যে তিনি শিশুর মতো বেড়ে উঠেছেন এবং এখন সাধুর প্রেমে পড়েছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. খোকন হোসেন জানান, তার অফিসের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি সব সময় গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সমস্যা হলে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাধু তার অফিসের অনলাইন গরুর বাজার এবং বিক্রির ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ভালো ক্রেতা পেলে কৃষকও ন্যায্য দাম পাবে।