বিচার চেয়ে বাড়ি ফেরার পথে আবারও হামলা, আহত ১৫
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে উপজেলার গোট্টি ইউনিয়নের পাশে দোহার গোট্টি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে ‘গোটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের নির্যাতিত মানুষ’ ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার বড় বালিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইফতার খাওয়ার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বালিগট্টি বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওয়ালিদ ফকির ও সবুর খানের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক ফের হামলা চালায়।
গাট্টি গ্রামের ফিরোজ মাতুব্বর (৩৮), হাবিব শেখ (২৮), কামাল মাতুব্বর (৩৭), অলি (৪০), জনো বেগম (৪৫), লিটন (৩৫), ইব্রাহিম শিকদার (২৩), লিখন মাতুব্বর (১১)। ওই হামলায় দোহায় নিহত হন মো. এতে ইসহাক মাতুব্বর (৪০), রাকিব (১৮), সেলিম মাতুব্বর (৩৬)সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রামদার কোপে আহত অলির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওয়ালিদ ফকির ও সবুর খানের নেতৃত্বে শতাধিক লোক স্থানীয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এ হামলা চালায়। এ সময় মানববন্ধনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস কি করে হলো? দেখবে তোর বাবাকে আজ কেউ বাঁচাবে? পুলিশ আপনাকে বাধা দেবে এবং তাদের ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।
তবে ওয়ালিদ ফকির ও সবুর খান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে বলেন, এসব মারামারির বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে শুনেছি বালিয়া গ্রামের সেলিম মাতুব্বর ও গাট্টি গ্রামের হাকিম খা-র মধ্যে মারামারি হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষের কয়েকজন দাবি করেছেন, মানববন্ধনকারীরা প্রথমে হামলা চালায়। হামলায় নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বালিগট্টি বাজার সংলগ্ন মীরগাট্টি গ্রামের গফুর মাতুব্বর, মকবুল মাতুব্বর ও নজরুল মাতুব্বরের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।