টরন্টোয় ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ।দীপতর মা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন
আমার এক টুকরো কলিজা ছাড়া আপনারা সবাই এখানে আছেন। তোমরা কেন ওকে বিদেশ যেতে দিলে? তাকে আটকালে এমন কিছু হতো না। সে আর কোনো দিন দেশে ফিরবে না। আমি তাকে আর কখনো দেখতে পাব না। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না।’ কানাডার টরন্টোতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আরিয়ান আলম দীপ্তর (২১) বোন অনন্যা আহসান দোলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার ২৩ নম্বর ‘জুবিলেশন’ ভবনের ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন দীপ্ত। গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য টরন্টো যান। সেখানকার একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান হ্যামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতেও ভর্তি হন তিনি। মাসখানেক আগে তার ক্লাস শুরু হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল তার জন্মদিন। এ উপলক্ষে তিন বন্ধু কেক ও ফুল নিয়ে তার ভাড়া বাসায় যান। তারা তাদের জন্মদিন উদযাপনের একদিন পর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ড্রাইভের জন্য বেরিয়েছিল।
কানাডিয়ান পুলিশ এবং মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গাড়িটি, যা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে দীপ্তসহ তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। তাদের আরেক বন্ধু, বাংলাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবির কুমার আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।