ভারতে যাবে ২৪৫০ টন ইলিশ

0

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে ৪৯টি কোম্পানি ৫০ টন রপ্তানি করতে পারবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব মাছ রপ্তানি করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারত সফরে আসছেন। এ কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রয়োজনে আবার অনুমোদন দেওয়া হবে। দেশের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দুর্গাপূজার কয়েক বছর আগে থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রতিবেশী দেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভারতের মানুষ পদ্মার ইলিশের প্রতি আকৃষ্ট। বিভিন্ন সময়ে ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরাও পদ্মার ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সৌজন্যে দুর্গাপূজার আগে এ ধরনের রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। ২০২০ সালে দুই দফায় ১ হাজার ৮৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর গত বছর ১১৫টি কোম্পানির মাধ্যমে দুই দফায় ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত সব মাছ রপ্তানি হয়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৬৪টি কোম্পানি ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৪৯টি কোম্পানিকে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের রপ্তানি ক্ষমতা বিবেচনা করে অনুমোদন পায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকগুলোই রপ্তানি করেনি। প্রতিটি চালান রপ্তানির পর সংশ্লিষ্ট নথিপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার শর্ত ছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানই নথি জমা দেয়নি। এ বছরও একই শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেসব কোম্পানিকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা আসলে রপ্তানি করছে কিনা তাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে স্বাদের দিক থেকে বাংলাদেশের ইলিশ সবচেয়ে জনপ্রিয়। সাধারণত প্রতি কেজি ৭০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি করা হয়।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হয়। এখান থেকে ৪-৫ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হয়। এ কারণে স্থানীয় বাজারে দাম ও সরবরাহে তেমন প্রভাব পড়ছে না। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকার সমান।

এ বছর দেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এই মাছের ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম প্রতি কিলোগ্রাম। দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম বেশি। কিন্তু এ ধরনের মাছের সরবরাহ খুবই কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *