ইউক্রেনের  বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ গোলা  ১ জন নিহত

0

ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় দেশটির আলভিয়া বন্দরের জলসীমায় আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলা সমৃদ্ধি’গোলার আঘাতের শিকার হয়েছে।। জাহাজটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় হাদিছুর রহমান নামে এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে রাত সোয়া ১০টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা। তবে কে বা কারা রকেটটি ছুড়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সাত দিন আগে শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে।

জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। ওই জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী ছিলেন হাদিসুর রহমান। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকৌশলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে।

কর্ডেস গ্লোবাল নামে একটি শিপিং কোম্পানি তাদের ফেসবুক পেজে তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশি জাহাজটি একটি রকেটের আঘাতে আঘাত হেনেছে। তারা একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় বলে জানা গেছে। পোস্টটি ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে একটি রকেট আঘাতের পরে, অ্যাঙ্করেজে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট সেখানে পাঠানো হয়।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির গতকাল রাতে বলেন, এমভি বাংলার সমৃদ্ধির আগুন নিভে গেছে। জাহাজে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। প্রকৌশলী হাদিসুর নিহত হন। বাকিগুলো অক্ষত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বোর্ডে খাবারসহ পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। এখন জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জাহাজে থাকা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ সেতুর বাবা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সেতুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছে। তিনি বলেন, হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নৌপরিবহন ও বিএসসি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের খোঁজ নিচ্ছেন। সবাই আমাদের আশ্বস্ত করছে যে  ভালো আছে।

গতকাল মধ্যরাতে বিএসসির ডিজিএম (চার্টার্ড) ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি হামলা হয়েছে। তবে এটি বুলেট নাকি বিমান হামলা তা এখনও অনিশ্চিত। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-এ থাকা নাবিক আতিকুর রহমান মুন্না তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জাহাজটি রকেটের আঘাতে আঘাত হেনেছে। একজন মারা গেছে।

বিএসসি সূত্র জানায়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের আলভিয়া বন্দরের জলসীমায় আসে। দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পণ্য লোড না করে দ্রুত ফেরার নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলটকে খুঁজে না পাওয়ায় জাহাজটি ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বের হতে পারেনি।

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে বসবাসরত অন্যান্য বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *