বাদ পড়লেন বিতর্কিত সংসদ সদস্য হাবিব হাসান
এবারের নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির সমীকরণে শেষ মুহূর্তে ঢাকার একটি আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতে ঢাকার কোনো আসন ছাড়তে চায়নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঢাকা-১৮ আসনটি আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ১৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা। কিন্তু এবার ঢাকার মাত্র ১টি আসনে শরিকদের ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ মুহূর্তে ঢাকা-১৮ আসনে ছাড় দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। ওই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বিতর্কিত হাবিব হাসান। আর জাতীয় পার্টি থেকে ওই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেরিফা কাদের।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় কোনো শরিক দলকে কোনো আসন না দেওয়ার পক্ষে ছিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আসন ভাগাভাগিতে ঢাকার আসন থেকে কোনো শরিক বাদ যাবে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ঢাকা-১৮ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিব হাসান দুর্নীতির কারণে এলাকায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেন। কয়েক মাস আগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত ৮ অক্টোবর কামরুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার পৃষ্ঠার একটি অভিযোগও জমা দেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া অভিযোগপত্রে অভিযোগকারী কামরুল ইসলাম রফিক নিজেকে ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগের কর্মী উল্লেখ করেছেন। এর আগে ২০২০ সালে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিব হাসান। পরে হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, পদ বাণিজ্য, জমি দখলসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
