বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষ পান করা ছেলের পাশে তথ্যমন্ত্রী

0

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ইমনের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তথ্যমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ জহিরের বাবার যথাযথ চিকিৎসা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়ে আর্থিক সহায়তাও দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার আলকাজ পণ্ডিতবাড়ির নিজ বাসায় বিষ পান করেন নীরব ইমন। তিনি পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন ইমানের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫)।

এমন একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তার বন্ধুরা তা ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠায়। বিএনপির রোডমার্চে বাবার অংশগ্রহণ মেনে নিতে পারেননি ইমন। রাগান্বিত ইমন বাড়িতে চলে আসে এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগ করে এবং এক পর্যায়ে বিষ পান করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বেডে শুয়ে অসুস্থ ইমন সাংবাদিকদের বলেন, “মানুষ দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করে। আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থান হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বাবাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, তিনি শোনেননি। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর আমার বন্ধুরা আমাকে দেখাবে এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। এ সময় তার বাবা মোহাম্মদ জহিরও উপস্থিত ছিলেন।

চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, “বিষ পানের পর অসুস্থ ইমানকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রথমে হাসপাতালে আনার সময় তার অবস্থা খারাপ ছিল। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবেন।” শীঘ্রই এবং হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *