আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না, জনগণই ভোট দেয়: প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরির দরকার নেই। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। মানুষ জানে নৌকায় ভোট দিলে জীবনমান উন্নত হয়। আমরা কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করি।

শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা মাইকে মিথ্যা বলেন। তারা সরকারের সবকিছুকে ছোট করার চেষ্টা করে, কারণ ওই দলের জন্ম অবৈধ উপায়ে। যারা মিথ্যার উপর টিকে থাকে, যাদের কোন শিকড় নেই।

তাই বিএনপির মিথ্যাচারে কান দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ চালায়। তখন নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে এতটা উদ্বেগ দেখিনি। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট পায় মাত্র ২৯টি আসন। পরে আরও একটি আসন পেয়েছে, মোট ৩০টি আসন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, “যখন তারা আমাদের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তখন আমার প্রশ্ন হল- যখন সামরিক স্বৈরশাসক ছিল, যখন আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছিলাম, ‘আমি যাকে চাই তাকে ভোট দেব।’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগই সেনানিবাস থেকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল, এর জন্য আমাদের অনেক মানুষের রক্ত দিতে হয়েছে।

আমাকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শেখাতে হবে না।

আওয়ামী লীগ এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশ সেনাবাহিনীর সরকার জেনারেলের জন্য সেনাবাহিনীর সরকার। আমরা জনগণের, জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এরপর দেশ যখন সুশৃঙ্খলভাবে চলতে শুরু করেছে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা কেন, তা নিয়ে সংশয় থাকতে হয়। আসলে তারা নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়।

সরকার প্রধান বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে আসছি যে, ভোটের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আমি নতুন কেউ নই। আমি স্কুল জীবন থেকেই আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এখানে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, যারা জানেন নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবেন না, তারা সব জায়গায় গিয়ে প্রতিবাদ করছেন। কারণ তাদের কোটি কোটি টাকা আছে। এত মানি লন্ডারিং আর ক্ষমতা থেকে এত টাকার মালিক হয়েও সেই টাকা তারা অবাধে খরচ করছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান এবং যুক্তরাজ্য সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *