৭৩ টন চাল আত্মসাৎ: খাদ্য কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

0

Description of image

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ৭৩ টন চাল, গম ও ধান আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চরভদ্রাসন থানায় মামলা হয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তারিকুজ্জামান জানান, মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইসমাইল হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য হলেন- চরভদ্রাসন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল আলম ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তারিকুজ্জামান জানান, গত রোববার বিকেলে তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সানোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় চরভদ্রাসন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল আলম বাদী হয়ে সানোয়ার হোসেন ও নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চরভদ্রাসন থানায় মামলা করেন। চরভদ্রাসন থানার ওসি মিন্টু মন্ডল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গুদামের ৭৩ টন চাল, সাড়ে ৩ টন গম, ২০ টন চাল ও সাড়ে ৮ হাজার খালি বস্তা পাওয়া যায়নি। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, আত্মসাৎ করে গত চার মাস ধরে ডিলারদের কাছে ভিজিডি কার্ডের চাল ও ১৫ টাকা কার্ড চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেন সানোয়ার হোসেন। দরিদ্ররা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। পরে গুদামের নথিপত্র যাচাই-বাছাইকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চাল আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পারেন। গত বুধবার গুদামটি সিলগালা করা হয়। ঘটনার পর সানোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।