কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত
কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
দুই দেশের মধ্যে ১০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বিতর্কিত। এ নিয়ে দুই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।
যুদ্ধবিরতি সম্মত হওয়ার পর গত সপ্তাহে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। শুক্রবারও সংঘর্ষ চলতে থাকে। তারা একে অপরকে সহিংসতা উস্কে দেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করছে। কিরগিজ সীমান্ত রক্ষীরা অভিযোগ করেছে যে তাজিক সৈন্যরা সীমান্তের এমন কিছু অংশে অবস্থান করছে যে সীমানা চিহ্নিত করা হয়নি। আর তাজিকিস্তানের দাবি, কিরগিজ সীমান্তরক্ষীরা বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে।
এই সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত বছরের যুদ্ধে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
গতকাল, কিরগিজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কিরগিজস্তানে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছে। এবং তাজিকিস্তান জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
রেড ক্রসের একটি আঞ্চলিক শাখার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে সীমান্ত এলাকায় অন্তত ২০,০০০ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে উভয় দেশেরই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মস্কো শুক্রবার সহিংসতা বন্ধে “জরুরি” ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে কিরগিজস্তান বলছে, তাদের দুটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি হামলায় ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তাজিকিস্তান অভিযোগ করেছে যে কিরগিজ বাহিনী “ভারী অস্ত্র” দিয়ে একটি ফাঁড়ি এবং সাতটি গ্রামে গোলা বর্ষণ করেছে।