তাইওয়ানের কাছে আবারও মহড়া চালিয়েছে চীন
মার্কিন আইন প্রণেতাদের একটি গ্রুপের তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন আবারও দ্বীপের কাছে মহড়া চালিয়েছে। তাইপেইতে থাকাকালীন মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করেছেন। চীন এটাকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
চীন এই দ্বীপটিকে তাদের ‘পৃথক প্রদেশ’ বলে দাবি করে। কয়েক দিন আগে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে বেইজিং তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালায়। উত্তেজনার মধ্যেই এই দ্বীপে আসেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের এই দলটি।
সিনেটর এড মার্কের নেতৃত্বে আইন প্রণেতাদের দল রবিবার তাইপেই পৌঁছেছে। পেলোসির পর এটি তাইওয়ান সফরকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিনিধি দল।
পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড সোমবার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি বাহিনী সাগরে এবং আকাশে প্রস্তুতিমূলক টহল এবং যুদ্ধ মহড়া পরিচালনা করেছে।
ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড আরও বলেছে যে মহড়াটি তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের অব্যাহত রাজনৈতিক কৌশলের একটি শক্তিশালী পাল্টা।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে বলেছে যে মার্কিন আইন প্রণেতাদের তাইওয়ান সফর চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন। যা তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ধ্বংসকারী এবং লুণ্ঠনকারী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসল চেহারা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে। চীনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
তবে কোনো বিবৃতি মহড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সং-চ্যাং বলেছেন, “দ্বীপে আসা বিদেশী বন্ধুদের বিরুদ্ধে চীনের হুমকি সত্ত্বেও আমরা বিচলিত হব না।”
পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর চীন লাইভ ফায়ার ড্রিল করেছে। এ সময় মহড়া থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি তাইপেইয়ের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে আরো পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র অবতরণ করেছে।