দোহারে পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন

0

দোহারে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে স্রোতও বাড়ছে। এ স্রোতের কারণে পদ্মা নদী বেষ্টিত বিলাশপুর ও সুতারপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এমন ক্রমাগত ভাঙনের ফলে সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহযোগিতায় ভাঙন রোধে কাজ করছে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশ্বের আলম বুধবার রাতে জানান, দোহারের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর মধুরচর সরকারি দোতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে। দোহারে পদ্মার ভাঙন রক্ষায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি মধুরচর এলাকাসহ বিলাশপুরের অন্যান্য এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও-ব্যাগে মোটা বালি ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দুই হাজার টন চাল ও নগদ অর্থ বিতরণের জন্য তিন লাখ টাকা পাঠিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এছাড়া দুস্থ পরিবারের জন্য ১১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, দোহার উপজেলায় টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীগর্ভে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। উপজেলার বিলাশপুর, মধুরচর ও নয়াবাড়ী ইউনিয়নের নদীগর্ভে টানা বর্ষণ এবং পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় জমিসহ কয়েকটি বাড়ির পাশের জমি তলিয়ে গেছে। ফলে রাতের ঘুম থেকে বঞ্চিত হয়েছে নদীর পাড়ের মানুষ। নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে মুকসুদপুর, নয়াবাড়ী, কুসুমহাটি, বিলাশপুর ও মধুরচরের নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলো দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। তারা ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমানের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন।

সুতারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সুরুজ বেপারী বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মধুরচর নদী তীরবর্তী এলাকায় স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এলাকার প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ চোকদার বলেন, ফাটল ঠেকাতে সেনাবাহিনী কাজ করছে। বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ফেলা হচ্ছে। একটি বালির ব্যাগের জিওব্যাগের ওজন প্রায় তিনশ পাউন্ড। টাও নামানোর সাথে সাথেই উতরাই যাচ্ছে। কাজের পরিমাণ ও গতি আরও বাড়াতে হবে।

দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাহেবকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *