আট হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের আদালতে  হয়ে গেল পাঁচ হাজার।জামিন জালিয়াতি

0

কুমিল্লার দেবিদ্বার জাফরগঞ্জ এলাকার মনিন্দ্র দাসের ছেলে অমর দাস। ৮ হাজার ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। জামিন না পেয়ে তিনি চট্টগ্রাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। মাদক ব্যবসায়ী অমর দাস কারাগারে থাকার ১৮ মাস পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। কিন্তু হাইকোর্টের জামিন আদেশে উদ্ধার হওয়া ইয়াবার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ হাজার। কিন্তু মামলার মূল নথিতে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের কথা উল্লেখ আছে। ইয়াবা কম দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিন নেন আসামিরা। প্রতারণার দায়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও রক্ষা পাননি অমর দাস। ইয়াবার সংখ্যার বৈপরীত্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের নজরে আসার পর তার জামিন স্থগিত করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসামিরা হাইকোর্টে জামিন পেতে ইয়াবা উদ্ধারকারীর সংখ্যা কম দেখিয়ে জালিয়াতি করে জামিন নিয়েছেন। চট্টগ্রামের আদালতে হাইকোর্টের জামিনের কাগজপত্র দাখিল করার পর হাইকোর্টে উল্লেখিত মূল নথি ও ইয়াবার মধ্যে গরমিল থাকায় তার জামিন আবেদনের নথিভুক্ত করা হয়। এখন হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা এলে পরবর্তী কাজ দায়রা জজ আদালতের।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই রেলওয়ের কদমতলী সিগন্যাল কারখানার সামনে থেকে অমর দাসকে সহযোগী ও ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। সবাই তাকে বিকাশের দোকানদার হিসেবেই চেনেন। তিনি কয়েক বছর ধরে বিকাশেরদোকান চালাচ্ছিলেন। তবে গত সাত বছর ধরে বিকাশের ব্যবসার আড়ালে চলছে ইয়াবা ব্যবসা। ইয়াবার টাকা লেনদেনের সুবিধার্থে সে বিকাশের ব্যবসা বেছে নেয়। অমর দাস ২০১৬ সালে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা আরেকটি মাদক মামলার আসামি। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার নালাপাড়া এলাকায় বসবাস করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *