ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে আটকা পড়েছে দেড় লাখ মানুষ

0

গত ২৪ ঘণ্টায় ধনু, ঘোড়াউত্রা ও কালনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামিন উপজেলার ১৩০টি গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। ইটনা ও মিঠামিন উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার জানান, উপজেলায় ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বন্যার্তরা সেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

মিঠামিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ উপজেলার প্রায় সাত শতাধিক পরিবারের ঘরে পানি উঠেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে।

পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কাছেদ মিয়া জানান, ইউনিয়নের ১০ থেকে ১৫টি পুকুর তলিয়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, অষ্টগ্রামে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বন্যার্তরা এসে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত শনিবার (১৮ জুন) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ইটনা, মিঠামিন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, হাওরের সর্বকালের রাস্তা ইটনারের দিকে একটু নিচু। ফলে আরও আড়াই ফুট বা তিন ফুট পানি থাকলে রাস্তা তলিয়ে যাবে। সিলেট অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পানি কিশোরগঞ্জের হাওরেও প্রবেশ করবে। এতে সামনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *