আ’লীগ নেতা স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর করলেন
বরিশালের হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ মাহমুদ দীপু শিকদারের বিরুদ্ধে বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। দীপু শিকদার হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার হামলার শিকার সংগঠনের কলেজ শাখার শিক্ষক রিপন দাস বাদী হয়ে হিজলা থানায় দীপু শিকদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে নবম শ্রেণির নিবন্ধন শিক্ষা বোর্ডে এবং শূন্য শিক্ষক পদের তালিকা এনটিআরসিতে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কলেজ শাখার শিক্ষক রিপন দাস ও কম্পিউটার শিক্ষক মো. মঙ্গলবার রাতে কলেজের লাইব্রেরিতে মাইনুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে দীপু শিকদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জন এসে প্রথমে গালিগালাজ ও পরে মারধর করে।
দীপু শিকদারের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিপু শিকদার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে প্রার্থী। এখানে বোর্ডের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি অশোক কুমার চ্যাটার্জি তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। গত সোমবার অভিভাবক ও শিক্ষক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দীপু সিকদার বলেন, প্রধান শিক্ষক ও তার কয়েকজন সহযোগী রাতে কমিটি তৈরি করে বোর্ডে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি জানার পর আমরা হাজির হয়ে তাদের বিরত থাকতে বলি। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা।
কাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি অশোক কুমার চ্যাটার্জি বলেন, রাতে শিক্ষকরা জরুরি কাজ করছেন। দীপু শিকদার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিপু শিকদার বলেন, ২০ বছর সংগঠনের সভাপতি ছিলাম। এখন তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে রাতে দিপু কেন সেখানে গিয়েছিল তা তিনি জানেন না।