ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

0
Untitled design - 2025-10-27T111833.143

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থীর উপর হামলা করেছে এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে ফেসবুকে সংঘর্ষের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। রাতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শত শত শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরাল টিম এবং পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে, প্রক্টর এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধে শিক্ষার্থীরা ব্যাচেলর প্যারাডাইসের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় সিটি ইউনিভার্সিটির আক্রমণকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর সাথে অশালীন আচরণের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ব্যাচেলর প্যারাডাইস নামে একটি ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী দেশি অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়, ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সাভার থানার দুটি দল মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষের পর সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এর আগে, মধ্যরাতের পর ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়, তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষের সময় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ভোর পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কোনও সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে সাভার থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান আমাদেরকে বলেন, “আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।”

Description of image

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।