সৌদি আরবে এক যুবকের গলায় ছুরিকাঘাত করেছে এক বাংলাদেশি
সৌদি আরবে রাজবাড়ীর যুবক রফিজুল ইসলাম বাবু নিহত হয়েছেন। সে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমারাই গ্রামের ফজের সরদারের ছেলে। সৌদি আরবের দাম্মামে গত রোববার মনির নামে এক যুবক তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। নিহত বাবুর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মনিরের শ্বশুর বাড়ি ৫০ গজ দূরে। ঘটনার পর থেকে মনিরের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তারা নিহত বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাবুর বাবা ফজ সরদার বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন। সে যেন পাথরে পরিণত হয়েছে। মা জহিরন বেগমের শোকে এদিক ওদিক যাচ্ছেন। বাড়িতে উপস্থিত ২০-২৫ জন আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাবুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে বাবু ছিলেন সবার ছোট। তার বড় ভাই একজন কৃষক এবং তার বড় ভাই একজন শ্রমিক। সবাই বাবুকে পছন্দ করত।
বাবুর বোন তানিয়া আক্তার জানান, সৌদি আরবে থাকা তার ভাগ্নে অনিক তাদের ফোন করে বাবুর মৃত্যুর খবর জানায়। ওই দিনই তারা রাজবাড়ী থানায় যান। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। এ কারণে তাদের কিছু করার নেই।
তারা বাবুকে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। সৌদি আরবে পুলিশ বাবু হত্যার বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে। তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বাবুর বাবা ফজ সরদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি। এখন শুধু শরীরটা ফিরে চাই। ‘
সৌদি আরবে অবস্থানরত রিয়াজুল খান শওকত নিশ্চিত করেছেন, রফিজুল ইসলাম বাবুকে কানের নিচ থেকে গলা পর্যন্ত ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
দাদশী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে নিহতের পরিবার তাকে জানায়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি বিতরণে ব্যস্ত। এ কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি।