সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ছাত্রাবাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের (এসএসএমসি) ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষ তিনটি ছাত্রাবাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মূল হোস্টেল, ইন্টার্ন হোস্টেল ও আলাউদ্দিন হোস্টেল ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মজনু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করে। চারতলা বিশিষ্ট মূল ছাত্রাবাসের অন্তত ৫০টি কক্ষ, ছয়তলা ইন্টার্ন হোস্টেলে ছয়টি এবং আলাউদ্দিন হোস্টেলে ছয়তলার ৪০টি কক্ষ ভাংচুর করা হয়।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মজনু মিয়া দাবি করেন, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়েছে।
তবে সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম পাল্টা দাবি করেন, সভাপতি বহিরাগতদের দিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন।
কোতয়ালী থানার বাবুপুরা ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. রাজীব মিয়া জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হোস্টেল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এসএসএমসি হোস্টেল সুপার ডাঃ সুদীপ দাস গুপ্ত বলেছেন যে তারা রাতে উভয় পক্ষের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।