ট্রেনের টিকিটে ভুল, সহজ এর কাছে  জবাব চাইল রেল

0

টিকিটে ভুলের কারণে ট্রেন মিস করেছেন যাত্রীরা। এতে রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিভিন্ন স্টেশনের শিফটে ত্রুটি এবং প্রতিদিনের প্রতিবেদনের কারণে স্টেশন থেকে স্টেশন ভাড়ার অসঙ্গতির কারণে রাজস্ব ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। টিকিট বিক্রির অপারেটর সহজ লিমিটেডের কাছে জবাব চেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সহজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদিরকে লেখা এক চিঠিতে রেলওয়ের যুগ্ম পরিচালক (অপারেশন্স) এ এম সালাহউদ্দিন বলেছেন যে তারা ২৬ মার্চ থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধের বিষয়ে রেলওয়েকে জানানো সহজ নয়। এবং টিকিট ইস্যু পুনরায় খোলা। রেলওয়ের টিকিট কার্যক্রম নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় রেলওয়ে প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি। ফলে রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে সরল পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

তবে চিঠির বিষয়ে এ এম সালাহউদ্দিন ও মালিহা এম কাদিরের বক্তব্য জানা যায়নি। রেলমন্ত্রী, রেল সচিব, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স)সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদেশে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

সোমবার সহজের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, চিঠির বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। সহজের একজন মুখপাত্র জানান, ট্রেন কখন ছাড়বে বা ভাড়ায় কোনো ভুল আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (CNS) টানা ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে ছিল। দরপত্র জটিলতা ও আইনি লড়াইয়ের পর ২৫ মার্চ থেকে চুক্তি পায় সহজ লিমিটেড। ওই দিন ওই স্টেশনের কাউন্টার ও পরদিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রতিটি টিকিট ইস্যুতে চার থেকে পাঁচ মিনিট সময় লাগে, স্টেশনে হাজার হাজার ভিড় তৈরি হয়। অনলাইনেও প্রবেশ করতে পারিনি। রোববার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনেক যাত্রী এখনো অনলাইনে নিবন্ধন ও টিকিটের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করছেন। ওটিপি নিবন্ধিত হলে, এটি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। অনেকেই ই-টিকেটিং ফেসবুক গ্রুপে অভিযোগ করেছেন, টাকা কেটেও টিকিট পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *