বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই: নাহিদ ইসলাম

0

জাতীয় নাগরিক দলের (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর আগের মতো নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়কারী পরিচয় আর নেই। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করব যে এই পরিচয় ব্যবহার করে যদি কেউ কোনও অপকর্ম করে, তাহলে তাদের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

Description of image

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর রূপায়ণ টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পরবর্তী ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “দলের আত্মপ্রকাশের পর, আমরা এখন নিবন্ধনের শর্তগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছি, সাংগঠনিক সম্প্রসারণের উপর জোর দিচ্ছি। রমজানের পরেও এগুলো পুরোদমে চলবে। এরপর আমরা এ নিয়ে ভাবব।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বলেছি যে আমরা জাতীয় নির্বাচনের সাথে সাথে গণপরিষদের নির্বাচন দেখতে চাই। এই মুহূর্তে নির্বাচনই এনসিপির একমাত্র দাবি নয়। আমরা দৃশ্যমান ন্যায়বিচার দেখতে চাই। জুলাই সনদে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের মাধ্যমে স্বাক্ষর করা হবে। জনগণ দেখতে পাবে কোন দল কোন সংস্কারের পক্ষে – কোন দল এর বিরুদ্ধে। আমরা নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষার্থীদের দ্বারা উত্থাপিত জুলাই ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।”

বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বলিনি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। আমি বলেছিলাম যে পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে সেখানে নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘রয়টার্সের সাক্ষাৎকারে কিছু ভুল কোড ছিল। আমি বলেছিলাম যে সমাজের ধনী ব্যক্তি বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা মূলত আমাদের আর্থিক বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অফিস স্থাপন সহ নির্বাচনী তহবিল পৌঁছাবো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে ভুল তথ্য এসেছে। সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়নি। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক দলের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাগোর্নো-কারাবাখ পার্টি উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনসমাগমে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর জন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে নারীদের উপর নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনা যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।