নাগরপুরে টেন্ডার নিয়ে মারামারি, স্থগিত লটারি
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গ্রামীণ সড়কে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান লটারি স্থগিত করেন।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ সড়কে ১৫ মিটার দীর্ঘ সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এক কোটি টাকার দরপত্র হয়। নাগরপুরে ১০টি সেতুর জন্য ৭ কোটি ২৩ লাখ ৮৫ হাজার ১২৮ টাকা ডাকা হয়েছিল। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৫ জানুয়ারী, ২০২২। সোমবার ছিল লটারির নির্ধারিত দিন। দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লটারি শুরু করেন। লটারির শেষ মুহূর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী কাশাদহ প্রায় ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ না করার জন্য ইউএনও ও অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের অনুরোধ জানান। . এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগও আরও একটি চাকরির দাবি জানায়। এ ঘটনায় ঠিকাদাররা আপত্তি জানালে তোলপাড় শুরু হয়।
মেসার্স তাবিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী পারভেজ হাসান বলেন, কুদরতের অনুসারী ও ছাত্রলীগ নেতারা আমাকেসহ বেশ কয়েকজন ঠিকাদারের ওপর হামলা চালায়। আহত হন আমিন টেডার্সের কাজী জহির সুমন ও নজরুল টেডার্সের নজরুল ইসলাম। ঠিকাদারদের প্রতিবাদের মুখে লটারি স্থগিত করেন ইউএনও। ঘটনার প্রতিকার ও হামলাকারীদের বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন জেলার ঠিকাদার নেতারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হাসান রতন বলেন, ছাত্রলীগ কোনো কাজ চায় না। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।
নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী বলেন, কোনো ঝগড়া হয়নি। লটারির শেষ মুহূর্তে একটি সেতুর কাজ চাওয়া হয়েছিল।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, লটারি শেষে ঠিকাদারদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে লটারি কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।