বিএনপি দুই বছর আগে থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে: তারেক রহমান
বিএনপি দুই বছর ধরে সংস্কারের কথা বলে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার সফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও জনসম্পৃক্ততার ৩১ দফা’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সমর্থন আমাদের পাশে রাখতে হবে। কেউ কেউ মনে করেন আমরা ইতিমধ্যে ক্ষমতায় এসেছি, কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসব কি না জানি না। জনগণের সমর্থন পেলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পারব। আর এ জন্য সবার আগে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দলের কেউ ভুল করলে তাদের সতর্ক করতে হবে, সচেতন করতে হবে এবং সঠিক পথে আনতে হবে। জনগণের আস্থা রক্ষা করা কঠিন হলেও এর দায়িত্ব আমাদের নেতাকর্মীদের। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময় দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকেই বিএনপি সংস্কারের কথা বলছে। এটা এমন কিছু নয় যা আমরা গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার কথা বলে আসছে বিএনপি। এ কারণে জনগণের দল বিএনপি ৩১ দফা নিয়ে আলোচনা করে আসছে, যা এখন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। এই ৩১ দফা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দিতে হবে এবং তাদের জন্য সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা দেশে জবাবদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মূল লক্ষ্য জবাবদিহিতা। ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জবাবদিহিতা থাকতে হবে। সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সব জায়গায় জবাবদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর আগে দেশে জবাবদিহিতা ছিল না। ‘
উদাহরণ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তথাকথিত নির্বাচন দেখেছেন। ফরিদপুরের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাও দেখেছেন। . দেশে জবাবদিহির জায়গা থাকলে তারা কি এই দুই হাজার কোটি টাকা পাঠাতে পারত, তারা কখনোই তা করতে পারত না। ‘
তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আর সেজন্যই আমরা ৩১ দফার কথা বলছি। ‘
ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসকুর রহমান মাসুক, মোঃ সেলিমুজ্জামান সেলিম, তারেক রহমানের উপদেষ্টা ডাঃ মাহাদী আমিন, বিএনপির প্রশিক্ষন সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির সহ-ত্রাণ সম্পাদক ড. নেওয়াজ হালিমা আরলী, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়েব ইউসুফ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা প্রমুখ। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগের পাঁচটি জেলার (ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ) বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
