শওকত মাহমুদসহ প্রেসক্লাবের চার জনের সদস্যপদ স্থগিত
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শওকত মাহমুদসহ ১০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। পতিত সরকারের কারচুপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিতে সহায়তা করায় শওকত মাহমুদসহ চার সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চার সদস্য হলেন শওকত মাহমুদ (জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি), তাহমিনা আক্তার, শেখ ফজলুল করিম সেলিম (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য) এবং সালমা ইসলাম (যমুনা টিভির চেয়ারম্যান ও প্রকাশক)। দৈনিক যুগান্তরের)।
সদস্যপদ স্থগিতের নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা পতন সরকারের কারচুপির নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান এবং ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব পরিচালনা কমিটি আজকের (রোববার) সভায় নিম্নলিখিত চার সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা নাশকতার ষড়যন্ত্র এবং ক্লাবে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বিভিন্ন শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ছয় সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ছয় সদস্যের বিষয়ে নোটিশে বলা হয়, সভায় উপস্থিত সদস্যরা গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা নাশকতার ষড়যন্ত্রে জড়িত সদস্যদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের শাস্তির দাবি জানান। ক্লাবে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অপমান করার অভিযোগে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেসক্লাব পরিচালনা কমিটি গঠনতন্ত্রের ১৩ ধারা অনুযায়ী আজকের সভায় নিম্নলিখিত সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কৃত ছয় সদস্য হলেন শামসুল হক দুররানি, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ওবায়দুল হক খান, রাশেদ চৌধুরী ও ফরাজী আজমল হোসেন।