প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের শপথ আজ

0

নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশন আজ দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। দুপুর দেড়টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নেবেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে যাত্রা শুরু করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। কমিশন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিশেষ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ; জনগণের মধ্যে ভোটের সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করা; রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভোটে আস্থা তৈরি করা; দলীয় প্রভাবমুক্ত প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রাপ্তি; উদ্বেগ এবং ভয় থেকে মুক্ত একটি উত্সব পরিবেশ তৈরি করা; সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন নতুন নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে।

জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনার সরাসরি আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে যাবেন। তারা সেখানে নিজ নিজ কার্যালয়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন তারা। নবনিযুক্ত সিইসি আ ম ম নাছির উদ্দিন তার পূর্বসূরিদের রেখে যাওয়া কলঙ্ক মুছে জাতিকে আলোর পথ দেখাবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তুমুল বিতর্ক রয়েছে। তরুণ ভোটারদের ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ দূর করার দায়িত্ব তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের কাঁধে।

অতীতে বিএনপি ও তার জোটের নির্বাচন বর্জনের কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার নতুন প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ১৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আওয়ামী লীগ এক অর্থে নির্বাসিতই বলা চলে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি আগামী নির্বাচনের আগে নির্বাচনে থাকবে কি না, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সরকারও বিভিন্ন সময়ে বলেছে, অপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এ ইস্যুতে বিতর্কের ঊর্ধ্বে নির্বাচন করাও নতুন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ।

অন্যদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ ভেঙে দিয়েছে। ফলে পুরো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে যে নির্বাচনই হোক না কেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *