মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না: সেনাপ্রধান

0

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, র‌্যাব মিশনে থাকাকালীন সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেনাপ্রধান তাদের এ কথা জানান।

শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে আজ দেশে ফিরেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আইএসপিআর জানায়, সফরকালে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মার্কিন সেনাপ্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৭ অক্টোবর, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে, সেনাবাহিনী প্রধান, জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন-পিয়ের ল্যাক্রোইক্স, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, সহকারী মহাসচিব জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের ইলজে ব্র্যান্ডস খেরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, রাজনৈতিক ও শান্তিনির্মাণ বিষয়ক বিভাগ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সহকারী মহাসচিব মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি এবং শান্তিরক্ষা কৌশলগত অফিসের পরিচালকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং নীতিনির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এছাড়াও, সেনাপ্রধান র‌্যাব বাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচন করার বিষয়ে অবহিত করেন যদি মোতায়েন থাকাকালীন তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

এছাড়াও সেনাপ্রধান বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম তুলে ধরেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি-শৃঙ্খলার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *