ডিবি অফিসে থাকার অভিজ্ঞতা জানালেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে ছেড়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের পরিবারের হেফাজতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সমন্বয়কদের একজন হাসনাত আবদুল্লাহ ডিবি অফিস থেকে ছাড়া পেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ডিবিতে আমরা ছয়জন একসঙ্গে ছিলাম না। আমরা খাবার এবং সম্মেলনের সময় দেখা করেছি। আমরা সেখানেও কথা বলিনি। আমরা একসঙ্গে বসে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ছয়জনকে ছয়ভাবে ট্রিট দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা সবাই মিলে এই বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণভাবে কথা বলব। আর গত সাত-আট দিনে দেশে কী হয়েছে তার কিছুই আমরা জানি না।
ডিবি অফিসে ৩২ ঘণ্টা অনশন করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বুঝতে পারছেন, সাত দিন এমন অবস্থায় ছিলাম। তারপর শেষ ৩২ ঘন্টা অনশন । একটু স্বাভাবিক হই সবাই মিলে একটা লিখিত বক্তব্য দেব।’
গত ২৬ জুলাই সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বকর মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন। সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেয় ডিবি।
গত রোববার ডিবির হেফাজত থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক।