ছেলে ও নাতি-নাতনির মৃত্যুতে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হামাস প্রধান

0

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। বুধবার ঈদুল ফিতরের দিন আল শাতি শরণার্থী শিবিরে হানিয়ার ছেলেদের বহনকারী গাড়িতে হামলা হয়।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে হানিয়ার ছেলেরা তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে আল শাতি ক্যাম্পে গিয়েছিল।

ছেলে ও নাতি-নাতনির মৃত্যুর খবরে আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হামাসের প্রধান। তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমাদেরকে তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করার জন্য।

ইসমাইল হানিয়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ছেলেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ছেলেদের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় চিকিৎসাধীন কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে দেখতে যান।

হানিয়া যখন ছেলে ও নাতি-নাতনির মৃত্যুর খবর শুনছিলেন, সেই মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করেছেন কেউ। দেখা যায়, খবর পেয়ে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নিয়ে হাসিমুখে বললেন, আল্লাহ তাদের পথ সহজ করে দিন।

সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের বেদনার মধ্য দিয়ে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।”

তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে তার ছেলেরা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতী শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিল। এ সময় হামলা চালানো হয়।

হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, হামাস নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে থামানো যাবে না।

তিনি বলেন, এ শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা ও রক্তপাত দ্বারা উদ্বুদ্ধ এবং তারা কোনো আইন মানে না এতে কোনো সন্দেহ নেই। হানিয়া জানান, চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

হামাস প্রধান আরও বলেছেন যে তার ছেলেদের হত্যা যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে পিছপা হবে না।

“তারা যদি মনে করে যে আমাদের শিশুদের টার্গেট করা এখনই হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করতে চলেছে, তাহলে তারা ভুল করছে,”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *