বস্তি থেকে বহুতল ভবন, সর্বত্রই আগুনের ঝুঁকি
টাটগ্রামের সরু রাস্তা, পানির অভাব এবং উৎসুক জনতা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এমনকি জনবল ও সরঞ্জামের দিক থেকে পর্যাপ্ত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক উপাদানের অভাব সমস্ত আয়োজনকে নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। সাপ্লাই চেইন ভেঙ্গে গেলে ফায়ার সার্ভিস অসহায় হয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামে বহুতল ভবন বেড়ে যাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের মৌসুম ফিরে এসেছে।
সতর্ক না হলে বড় মূল্য দিতে হবে চট্টগ্রামবাসীকে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১১টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ১ তলা ভবন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৫টি, ২ থেকে ৫ তলা উচ্চতার ৯০ হাজার ৪৪৪টি, ৬ থেকে ১০ তলা উচ্চতার ১৩ হাজার ১৩৫টি ভবন রয়েছে। ১১ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত ৪৩১টি ভবন, ১৬ তলা থেকে ২০ তলা পর্যন্ত ৮৬টি ভবন এবং ২০ তলার বেশি উচ্চতার ১০টি ভবন রয়েছে। ইতিমধ্যেই নগরীতে ৩৩ তলা উঁচু ভবন নির্মিত হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে ১২টি বড় বস্তি রয়েছে। ৪২টি বাজার রয়েছে। এই ১২টি বস্তি ও বাজার আগুনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব মার্কেটে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। বস্তিতে, একটি ঘর থেকে সংযোগ নেওয়া হয় আশেপাশের বহু ঘরে। তাছাড়া খোলা চুলা, এলপি গ্যাসের চুলাসহ নানাভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে বস্তিগুলো।