রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পুলিশের অভিযান আটক ৩৫

0

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানকালে তারা এসব রেস্টুরেন্ট-বিল্ডিংয়ে জরুরী বহির্গমনের সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা আছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার-কর্মীসহ অন্তত ৩৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

রোববার (৩ মার্চ) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধানমন্ডির হোয়াইট হল রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহিন, মেরিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, অ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কারাই গোস্তার খালিদ হোসেন, লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা জেলার পুলক বিশ্বাস, আশিক তালুকদার, শাহিন দোকন ক্যাফে। ক্যাফে সাও পাওলোর সারোয়ার, লাউঞ্জের ক্যাপিটাল রেদুয়ান আহমেদ, পার্ক অ্যান্ড স্ট্রিটের মিজানুর রহমান, খানজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমিন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশির মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩-এর রাসেল পালমা। , বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার এবং বিবিকিউয়ের সুমিত রায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. খন্দকার মাহিদ উদ্দিন জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ৩৫ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাটো অনিয়ম পাওয়া যায় সেগুলোকে মুচলেকা দিয়ে সতর্ক করা হয়।

তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন আছে কি না, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় কি না, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া হয়।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাটারা থানা পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বারসহ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। ভাটারা থানার ওসি মইনুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়।

পুলিশ ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে তারা ভবনের সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতাও পরীক্ষা করেন। অভিযানের সময় একটি ভবনে অনিয়ম পাওয়া গেলে পুলিশ ভবন মালিককে সতর্ক করে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন থানার একাধিক কর্মকর্তা জানান, অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে হোটেল-রেস্তোরাঁ নিয়ম মেনে চলছে কি না, তা প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযান চালানো হয়নি। এ কারণে পুলিশ সদস্যরা মাঠে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *