বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপ তৈরি করেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এটি ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে (১৫.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৬.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)। গত বুধবার মধ্যরাতে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল।
এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘের সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমি মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪০ কিমি/ঘন্টা, দমকা বা দমকা আকারে ৫০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে চলাচলকারী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।