ডিসেম্বর 15, 2025

কক্সবাজারে পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করছে পরিবেশ অধিদপ্তর

Untitled design (5)

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের তোতাকখালীতে পাহাড় কাটার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

Description of image

শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান তোতাখালীর কয়েকটি পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেন।

তিনি ঘটনাস্থলের স্থির ও ভিডিও ফুটেজ নেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। তবে সেখানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান।

তিনি বলেন, ‘তোতাকখালীতে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আহত শ্রমিক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এর আগে গত শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্যসমৃদ্ধ সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, মামুন, কাদের, ধুলু, আমিন ও বাবুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে তোতাখালীতে পাহাড় কেটে মাটি-বালু বিক্রি করে আসছে। তারা পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি ও বালি বিক্রির পাশাপাশি নিচু জমি ভরাটের চুক্তির কাজ করে। গত দুই মাসে তোতাকখালী ও এর আশপাশের এলাকায় ১৫/১৬টি প্লট ভরাট করা হয়েছে। কাটা হচ্ছে ৬টি পাহাড়। কিন্তু সিন্ডিকেটের আধিপত্য থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

স্থানীয়রা আরও জানান, শুক্রবার সকালে সিন্ডিকেটের সঙ্গে পাহাড় কাটার সময় নুরুল ইসলাম কালু নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া মামুন ও কাদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার মামলাও করে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু সিন্ডিকেট একের পর এক পাহাড় কাটতে থাকে। এদিকে পাহাড় কাটা বন্ধ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল মজিদ।