কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ ডাকাত গ্রেফতার, দেশীয় অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার

0

তাদের কবল থেকে রেহাই পায়নি পর্যটক ও স্থানীয়রাও। বাদ যায়নি মাছ ধরার ট্রলারও। জমি ও জলে তাদের ক্ষমতা। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছে ওই ৭ ডাকাত। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও নয় রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

গত ১৮ জানুয়ারি সৈকতের নাজিরেরটেক চরপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মোঃ আবু ছালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক চরপাড়ার ০১ নং ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায় একদল ডাকাত জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাত দল র‌্যাবের অভিযানকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়। তবে ডাকাত দলের ২ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ডাকাত দলের হেফাজত থেকে ১টি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, ২টি এলজি, ৯টি তাজা কার্তুজ, ২টি দামাস, ১টি রাম দা, ৪টি বোতাম ও ১টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মহেশখালী কুতুবজুম সোনাদিয়ার নুরু মিয়ার ছেলে সৈয়দুল করিম (৩০), কুতুবদিয়া কৈরবিল ইউনিয়নের বড়ঘোপের আলমের ছেলে দেলোয়ার (২২), কুতুবদিয়া বড়ঘোপের মাতবর পাড়ার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে পারভেজ আলম (২৪), রুহুল কাদের। মহেশখালী ধলঘাটার বেগুন বুনিয়ার আক্তার হোসেনের ছেলে। ২২) শহরের ঘোনার পাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. আব্দুল মাবুদ (২৭), মহেশখালীর সোনাদিয়ার নবীর হোসেনের ছেলে মো. হাফিজ এছাম উদ্দিন প্রকাশ হাফিজ আব্দুল্লাহ (১৯) সাগরের মৃত হাজী আবু তাহেরের ছেলে (২২) ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি স্বীকার করে যে, তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরেরটেকের বালুর চরে এসে সামুদ্রিক মাছ ধরার ট্রলারের মাছ ও জাল ছিনতাই করতে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করত। এ ছাড়া তারা কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন।

উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত বক্তব্য দাখিল করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *