গ্রামের যেখানে সেখানে সাপ, আতঙ্কে সবাই
ট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার একটি গ্রামে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে সাপে কামড়েছে। এতে আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খোলা মাঠ, ধানক্ষেত এমনকি রাস্তার ধারে অসংখ্য বিষধর সাপ ও সাপের খোলস দেখা যায়।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ সরোয়াতলী গ্রামে গত দুই মাস ধরে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সারা গ্রামে সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাপগুলো গর্ত ছেড়ে দলে দলে বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে শুক্লা শীল (৪০), সূর্য শীল (১০), মীরা ইছ (৫৫), সুভাষ পাল (৪৫)সহ আরও অনেককে সাপে কামড়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুরেশ চৌধুরী জানান, গত দুই মাসে গ্রামের বেশ কয়েকজনকে সাপে কামড়েছে। গ্রামের মানুষ সাপের ভয়ে আতঙ্কিত।
তিনি জানান, এ গ্রাম সংলগ্ন রাইখালী খাল খনন কাজ শুরু হলে সাপের উপদ্রব বাড়তে থাকে। খালের পাড়ের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করায় সাপগুলো আবাসস্থল থেকে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাপে কামড়ানো সূর্যের বাবা সুজন শীল বলেন, এক মাস আগে আমার ছেলেকে সাপে কামড়েছিল। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পাঁচ দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে দক্ষিণ সরোয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এর আগে আরেক প্রতিবেশী গণেশ শুইলের স্ত্রী শুক্লা শীলকেও সাপে কামড়েছিল।
দক্ষিণ সরোয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃদুল বিশ্বাস বলেন, গত ২৬ নভেম্বর শনিবার আমার বোন মীরা ইছকে বিষধর সাপে কামড়েছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিন দিন ভর্তি ছিলাম এবং চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে এসেছি।
তিনি জানান, দুই মাস আগে একই গ্রামের সুভাষ পালকেও সাপে কামড়েছিল। তাকেও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি এখনো কেউ আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে আজ এলাকায় খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।