ভারতীয় পণ্য যাতায়াত করবে ১৬ রুটে ।চট্টগ্রাম-মংলা বন্দর ট্রানজিট সুবিধা
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে মোট ১৬টি রুট অনুমোদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ী পণ্য পরিবহন ও ট্রান্সশিপমেন্টের শুল্ক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। ভারত।
এর ফলে ভারত নিজের দেশে পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই দুটি বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের জন্য ১৬টি ট্রানজিট রুট থাকবে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর-আখাউড়া-আগরতলা, মংলা বন্দর-আখাউড়া-আগরতলা, চট্টগ্রাম বন্দর-তামাবিল-ডাউকি, মংলা বন্দর-তামাবিল-ডাউকি, চট্টগ্রাম বন্দর-শেওলা-সুতারকান্দি, মংলা বন্দর-শেওলা-সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম বন্দর-বিবিরপুরবাজার। , মংলা বন্দর-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর, আগরতলা-আখাউড়া-চট্টগ্রাম বন্দর, আগরতলা-আখাউড়া-মংলা বন্দর, ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম বন্দর, ডাউকি-তামাবিল-মোংলা বন্দর, শেওলা-সুতারকান্দি-চট্টগ্রাম বন্দর, শেওলা-সুতারকান্দি-চট্টগ্রাম বন্দর, শ্রীমন্তপুর-বিবিরবাজার-চট্টগ্রাম বন্দর এবং শ্রীমন্তপুর-বিবিরবাজার-মংলা বন্দর।
বন্দরে পণ্য আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ কাস্টমসকে জানাতে হবে। বিল অফ এন্ট্রি, বাণিজ্যিক চালান, প্যাকিং তালিকা সহ সম্পূর্ণ ডকুমেন্টেশন কাস্টমসের কাছে জমা দিতে হবে এবং ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের শুল্ক প্রদান করতে হবে। ফি এবং চার্জের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদেয়।
আদেশে প্রতি চালান নথি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্টে প্রতি টন পণ্যের জন্য ২০ টাকা, প্রতি টন প্রতি ১০০ টাকা নিরাপত্তা চার্জ, কনটেইনার প্রতি ৮৫ টাকা এসকর্ট চার্জ, প্রতি টন ১০০ টাকা অন্যান্য প্রশাসনিক চার্জ এবং ১০০ টাকা স্ক্যানিং চার্জ দিতে বলা হয়েছে। প্রতি পাত্রে ২৫৪ টাকা। এর বাইরে রাস্তা ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি ধার্য করা হবে। সড়ক ব্যবহারের জন্য টন প্রতি ১ টাকা ৮৫ পয়সা ফি দিতে হবে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক লক ও সিলও নিয়মানুযায়ী চার্জ দিতে হয়।