সেই বিচারকের ক্ষমতা প্রত্যাহার, আদালতে না বসার নির্দেশ

0

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের মামলা নেওয়া যাবে না। কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বেগম মোছা. রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কামরুন্নাহারকে আদালতে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। তার বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে তার বর্তমান চাকরি থেকে অপসারণ এবং তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে আজ সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ১১ নভেম্বর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রায় ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টা পর কেউ ধর্ষণের মামলা করতে গেলে পুলিশকে না নেওয়ার পরামর্শ দেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার আদালত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক খালাস দেন।

রায়ের পর বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই যৌন সম্পর্কে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছে। সেখানে গিয়ে সাঁতার কাটল। ঘটনার ৩৬ দিন পর তারা বলে, আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি। অপ্রয়োজনীয় তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। আদালত ৯৪ কার্যদিবস হারিয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছি। এ ছাড়া ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর কেউ মামলা করতে গেলে তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

শনিবার বিচারপতির বক্তব্যকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *