এই গরমে ফুড পয়জনিং? কি করবেন

0

সারা দেশে এখন গরম। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে প্রতিবছর এ সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। ফুড পয়জনিং মূলত খাবারের কারণে হয়। ফলে বমি বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

* খাওয়ার পর বারবার বমি হওয়া

* ডায়রিয়া

* জ্বর

* পেটে ব্যথা

* ক্লান্তি

* ক্ষুধামান্দ্য

গ্রীষ্মকালে প্রকোপ বাড়ে

গ্রীষ্মকালে ফুড পয়জনিং বেশি হয়। এ সময় খাবার দ্রুত পচে যাওয়ায় তা সহজেই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এ জন্য বাসি বা পচা খাবার, গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। রাস্তার খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়া খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি কমায়। যদি কারো খাদ্যে বিষক্রিয়ার সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে মারাত্মক ডিহাইড্রেশন এমনকি রক্তস্বল্পতাও হতে পারে জটিলতা। পানিশূন্যতা রোধ করতে তরমুজের মতো রসালো ফল খাওয়া উচিত। এটি শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।

খাদ্যতালিকায় যা রাখতে হবে

খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার ব্যক্তিকে সহজে হজমযোগ্য মাংস দিতে হবে। হজমের সুবিধার্থে মাছ ও মাংসের কিমা, সেদ্ধ ডিম দেওয়া যেতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, ঘোল এবং পাকা কলা, কলা ডায়রিয়ায় খুবই কার্যকরী। তবে খাবারে ডাল না রাখাই ভালো। এ ছাড়া শিং, মাগুর ও কচি মুরগির পাতলা ঝোলের মতো খাবার খুবই উপকারী। আলু-পেঁপে-কাঁচালা-করলা বা আঁশ ছাড়া অন্য কোনো সবজি যোগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ সময় প্রচুর পানি পান করুন। স্যালাইন, লেবুর রস, ফলের রস খাওয়ার মাধ্যমেও পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা যায়।

যা পরিহার করা উচিত

খাবারটি যেন তাজা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভাজা খাবার, মশলাদার ও নোনতা খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, খসখসে রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *