গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব: ফখরুল
বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের’ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বিএনপি , জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ থেকে ৫১ বছর আগে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে আমরা যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি, তখন আমাদের স্বপ্ন, আশা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে। আমাদের কথা বলার অধিকার, আমাদের ভোটের অধিকার আজ হারিয়েছে, সাংবাদিকদের সত্য লেখার অধিকার হারিয়েছে। দেশে আসলেই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি ও পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আজ বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য কী, বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য কারাবরণ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার এই শুভ দিনে আমি শপথ নিচ্ছি- বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে, চাল, তেল ও ডালের ঊর্ধ্বমুখী দাম। সহনীয় এবং সত্যিকার অর্থে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করা।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা।