মির্জা ফখরুল বিএনপির পদযাত্রায়।পাহারা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না

0

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার উত্তরা ও মতিঝিলে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট ছাড়াও ঢাকার উভয় এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। তারা এই পদযাত্রায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে লুটপাট ও দুর্নীতির বিষয়গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়। একইভাবে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এ কর্মসূচি পালন করে।

বিকাল ৩:০০ টায় রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রার আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। এখন তারা আন্দোলনকে এত ভয় পায়, আন্দোলনে পাহারা দিতে হয়। কিন্তু পাহারা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। খালেদা জিয়ার কারাবরণ ও তারেক রহমানের বিদেশে নির্বাসন বিএনপির আন্দোলন থামাতে পারেনি। এ সরকারের পদত্যাগের দাবি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন করা।

সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যুৎ-গ্যাস-দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে একযোগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকায় এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। একই দাবিতে আজ প্রতিটি মহানগরে এ কর্মসূচি পালন করবেন নেতাকর্মীরা। এ কর্মসূচিকে ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে ও সাধারণ মানুষকে সমবেত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু কেউ কিছু জানে না। নবনির্বাচিত সভাপতি নিজেও জানতেন না। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রমাণ করে যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান সমস্যার সমাধান করবে না। এ জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। বিএনপির দেওয়া ২৭ দফা রূপরেখার মধ্যে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সাথে ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত এবং সকল মানুষের অংশগ্রহণে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য এ আন্দোলন করছে না। বিএনপি জনগণের মুক্তির জন্য, এ দেশকে বাঁচানোর জন্য, এদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য লড়াই করছে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতায় এদেশ আজ কর্মহীন অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কোথাও সফলতা নেই। আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, গতবারও হয়নি। এটা আমাদের জন্য আনন্দের নয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন ব্যাংকে টাকা নেই, ডলার নেই। এলসি খুলতে পারছি না, জিনিসপত্র আনতে পারছি না। চুরির একটা সীমা আছে। তারা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। লুটপাট চলছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীর পরিবারে হাত ভরে যাচ্ছে।

মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সভাপতি আবদুস সালাম ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, কাজী হাবিবুল বাশার, হাবিবুর রশিদ হাবিব, তানভীর আহমেদ রবিন, স্বচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সাঈদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *