এক মাস পর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু
দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু করেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ থাকা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বুধবার রাত ১২টার দিকে উৎপাদন শুরু হয়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটের কারণে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিট থেকে আমরা আবার উৎপাদন শুরু করতে পেরেছি। কয়লা আমদানিতে জটিলতা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি এখন থেকে নিয়মিত প্রযোজনা করতে পারব। দ্বিতীয় ইউনিটটি আগামী জুন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগে ১,৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। গত ১৫ আগস্ট প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে।
গত ১৭ ডিসেম্বর এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় উৎপাদন শুরুর ২৭ দিন পর ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে। ৫০,০০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। কারখানাটির একটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্ল্যান্টের তিন মাসের কয়লা মজুদ করার ক্ষমতা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটের কারণে কেন্দ্রে কয়লা মজুদ রাখা সম্ভব হয়নি।
