পাবনার মানসিক হাসপাতালে সুস্থ নারীকে ভর্তি, পরিচালককে তলব

0

টাকার বিনিময়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগীকে পাবনা মনোরোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রতন কুমার রায়কে তলব করেছে আদালত।

বুধবার তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার চরসাহাপুর গ্রামের সেন্টু সরদারের মেয়ে সেতু খাতুন (২৯) ও আব্দুল খালেকের স্ত্রী (২৯)কে পি-৯১৪/২ রেজিস্ট্রার ফাইলের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বামীর বাড়িতে যেতে না দিতে সেতুর পরিবার টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে। ভর্তি হওয়ার পর থেকে সেতু খাতুন নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ নন। তাকে জোর করে মানসিক রোগী বানানো হয়েছে। দুই দফায় বোর্ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও সেতু খাতুন মানসিক রোগী নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পরে সেতুর স্বামী বাদী হয়ে তার স্ত্রী মানসিক অসুস্থতার অভিযোগে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে ৮১/২০২২ নং পিটিশন দাখিল করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য রাজশাহীর মতিহার থানায় পাঠান আবেদনকারী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক হাসপাতালের পরিচালককে ২ জুন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্যাতিতাকে আদালতে হাজির না করে ডিসচার্জ সার্টিফিকেটসহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ফলে বুধবার রতন কুমার রায়কে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ।

পাবনা মনোরোগ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. রতন কুমার রায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সিদ্ধান্ত নেব। রোগীদের ভর্তি ও ছাড়ানোর ক্ষমতা পরিচালকের নেই। সেখানে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *