ট্টগ্রামে মা ও মেয়েকে হত্যা ।অভিযুক্ত শহিদের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তার মাকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি বাড়িতে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্ট শহীদদের সাজা বহাল রেখেছে। বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ২৪ শে মার্চ, সিএন্ডএফ এজেন্ট রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪৯) এবং তার মেয়ে সায়মা আক্তার (১৭) কে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রেজিয়া খাতুনের স্বামী রেজাউল করিম ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পরের দিন তদন্ত করে গোয়েন্দারা শহীদকে শহরের খুলশী থেকে এবং রায়হানকে ঢাকার ফকিরাপুলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতার করে।
চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর মামলার রায় দেয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাবিলদার আবুল বাশারের ছেলে আবু রায়হান (২৭) এবং শহরের খুলশী এলাকার একটি রেস্ট হাউসের চালককে গ্রেফতার করা হয়। শহীদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি তখন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিলও দায়ের করেন। অভিযুক্ত আবু রায়হান কারাগারে আপিল করার পর মারা যান। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার হাইকোর্ট শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।