কিশোরগঞ্জের এক প্রতিবন্ধী যুবক চাকরি পেলেন
অবশেষে চাকরি পেলেন কিশোরগঞ্জে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রতিবন্ধী যুবক আনিসুর রহমান। পুলিশ উইমেন ওয়েলফেয়ার (পুনাক) কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসন জিশান মির্জা অনীশকে একটি চাকরি ও একটি কম্পিউটার দিয়েছেন।
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনীশের হাতে নিয়োগপত্র ও কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুনাকের সভাপতি মাহফুজা নাজনীন দিশার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির আহ্বায়ক লেলিন রায়হান শুভ্র শাহিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেন ও মা ফুলেশা বেগমের দুই সন্তান ছেলে অনীশ ও মেয়ে আমেনা। তারা দুজনেই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। অনীশ কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তার বোন আমেনা কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বিএ পড়ছে। বাবা সিদ্দিক হোসেন ঝালমুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। মা ঘরে শয্যাশায়ী। ২০১৮ সালে মাস্টার্স পাস করার পর চাকরির জন্য জোর লবিং করছেন আনিশুর। ফেসবুকেও বিভিন্ন পোস্ট দিতেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় অনীশের মানবিক আবেদন ও অসহায়ত্বের ঘটনা নজরে আসে পুলিশ মহিলা কল্যাণ (পুনাক) কেন্দ্রীয় সভাপতি জিশান মির্জার। তিনি কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারকে ফোন করে আনিসুর জন্য কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে পুনাক সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির আহ্বায়ক লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন। পুনক সভাপতি আনিসুরকে তার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করতে বলেন এবং তিনি রাজি হন। পরে পুলিশ সুপার আনিসুরকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়। পরিবহন সমিতির আহ্বায়ক শাহীন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ আনিসুরকে পরিবহন সমিতির কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দিতে রাজি হন।
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আনিসুরের হাতে একটি কম্পিউটার উপহার ও পরিবহন সমিতির কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের চিঠি তুলে দেন কেন্দ্রীয় পুনাকের সভাপতি জিশান মির্জা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম (অপরাধ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী (সদর দপ্তর), কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন সমিতির সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।