উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার নিশ্চিত করেছেন যে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্লেন’ গতকাল রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে ম্যাডামের জন্য দোয়া করতে বলছি।
খালেদা জিয়ার বিদেশ সফর উপলক্ষে ঢাকা বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষসহ লাখো নেতাকর্মী। দলীয় নেতাকর্মীরা গুলশান, বনানী ও বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানান। এ সময় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেককেই আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ সুবিধাসহ কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সফরে ছয় চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন ছিলেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন কাতারের চার রাজকীয় চিকিৎসক।
পথে দোহায় যাত্রাবিরতির পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। সেখানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা-ছেলের। তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। পুনর্মিলনের অপেক্ষায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে খালেদা জিয়াকে সরাসরি লন্ডনের ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে।
লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা সুপারিশ করলে খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরতে পারবেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি চিকিৎসকরা। এ কারণে তার বিদেশ যাওয়া নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে ‘স্বস্তির’ পাশাপাশি এক ধরনের উদ্বেগ বিরাজ করছে। তবে চিকিৎসা শেষে ওমরাহ পালন করে দেশে ফেরার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
স্বাধীনতা ভালোবাসে এমন জাতির জন্য শেষ আশ্রয় এবং অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা। মাহমুদুর রহমান আশা করছেন, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরবেন।